দেশের প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা হতে আগ্রহীদের জন্য আবারও সুখবর নিয়ে এসেছে ৩৬তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি। তবে পরীক্ষায় ভালো করতে হলে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে এখনই।
গত ৩১ মে ২ হাজার ১৮০টি শূন্য পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। আবেদন করা যাবে ১৪ জুন সকাল ১০টা থেকে আগামী ২৩ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত। তবে ঝক্কি এড়াতে শেষ সময়ে আবেদন না করাই ভালো। গত কয়েক বছরের মতো এবারও অনলাইনে(<http://www.bpsc.gov.bd) আবেদন করতে হবে। আবেদনের জন্য মুঠোফোন অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে ৭০০ টাকা জমা দিতে হবে। তবে প্রতিবন্ধী ও আদিবাসীদের জন্য ফি ১০০ টাকা।
কোন ক্যাডারে কত পদ
৩৬তম বিসিএসে মোট ২ হাজার ১৮০টি পদের মধ্যে সাধারণ ক্যাডারে ৫৪২টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০টি, পুলিশে ১২০টি, কর ক্যাডারে ৪৩টি, তথ্যে ৩৭টি ও পররাষ্ট্রে ২২টি পদ রয়েছে। এ ছাড়া সমবায় ক্যাডারে ২২টি, আনসারে ১৯টি, নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারে ১৫টি, খাদ্যে সাতটি, ইকোনমিক ক্যাডারে চারটি, ডাকে দুটি এবং পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারে একটি পদ রয়েছে।
কারিগরি ক্যাডারের পদের সংখ্যা ৭৪০টি। এর মধ্যে কৃষি ক্যাডারে ৩৯৭টি, স্বাস্থ্যে ১৮৭টি। এ ছাড়া বিসিএস সাধারণ শিক্ষায় ৮৭১টি, সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের জন্য ২৩টি ও কারিগরি কলেজগুলোর জন্য চারটি পদ রয়েছে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর-বিন্যাস
৩৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মতো এবারের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মোট নম্বরও ২০০। এর মধ্যে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ৩৫, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়ে ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ২০, ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ১০, সাধারণ বিজ্ঞানে ১৫, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিতে ১৫, গাণিতিক যুক্তিতে ১৫, মানসিক দক্ষতায় ১৫ এবং নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনে ১০ নম্বর থাকবে।
প্রস্তুতি শুরুর এখনই সময়
৩৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১ হাজার ৮০৩টি শূন্য পদের বিপরীতে রেকর্ডসংখ্যক ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন মাত্র ২০ হাজার ৩৯১ জন। প্রতিদ্বন্দ্বিতার ধরনের আঁচ এখান থেকেই করে নিতে পারেন। তাই আগেভাগে প্রস্তুতি শুরুর কোনো বিকল্প নেই।
৩৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী নুরুল হুদা চৌধুরী এ পরীক্ষার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বলেন, ৩৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রশ্নের ধরন আলাদা হয়ে গেছে। তাই বাজারে যেসব গাইড বই পাওয়া যায় শুধু সেগুলোর ওপর নির্ভর করে ভালো ফল করার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, ভালো ফলের জন্য এখন মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর জোর দিতে হবে এবং সেগুলো খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। আর গাইড বই নয়, বরং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবই পড়তে হবে। তবে তা অবশ্যই প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য পিএসসির দেওয়া সিলেবাস অনুসরণ করে পড়তে হবে।
No comments:
Post a Comment