:ঘটনাটা ২০০৯ সালের ::
যখন বিসিএস প্রিলি পরীক্ষা দেই আমার মনে আছে ঠিক
পরীক্ষার আগের দিন বৃহস্পতিবারও আমি আমার ইন্টার্নশীপের জন্য অফিসে
সন্ধ্যা ৭.০০ টার দিকে বের হলাম আমার ব্যাগের মধ্যে থাকা কারেন্ট ওয়ার্ল্ড
এবং কারন্টে অ্যাফেয়ার্স এর দু’টি কপি এক মিনিটের জন্যও বের করতে পারিনি,
কাজের চাপে, সত্যিক কথা বলতে কি ইচ্ছাও করেনি কিন্তু আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ
ছিলাম আমি পারব-আমার কৌশলটা আমি কষে রেখেছিলাম-আমি জানতাম ৬০-৭০% মার্কস
পেলে প্রশ্ন যেরকমই হোক না কেন আমি চান্স পাবই। আমি নিজেকে জানি-আমি
ইংরেজী, ম্যাথে ভাল তাই ধরে নিলাম ইংরেজী অংশে বড়জোর ২-১ টি ভুল হতে পারে
ঠিক ম্যাথের বেলায়ও তাই, সুতরাং এ অংশ থেকে ১৭+১৮ =৩৫ তুলতে পারবই, আর
বাংলায় আমার বেইস বেশ শক্ত বিশেষ করে বাংলা ব্যকরণ অংশে-তাই বাংলায় ধরলাম
২০ এর মধ্যে ১৫ তুলতে পারব, তাহলে মোট হল ১৭+১৮+১৫ =৫০, বাকী রইল সাধারণ
জ্ঞান আর কম্পিউটার ও প্রযুক্তি, সাধারণ জ্ঞানে ভাল ছিলাম না একদমই কেননা
বিবিএ পড়তে গিয়ে ঐ অংশটাতে একটু দূরে সরে গিয়েছিলাম, তবুও জানতাম বেসিক
কিছু দিয়ে আটকাতে পারবে না, তাই এ অংশ থেকে ধরলাম মাত্র ১৫, আর এ্যাকাডেমিক
কাজে কম্পিউটারস এর সাথে সখ্য থাকায় এবং এসএসসি পর্যন্ত বিজ্ঞান বিভাগের
ছাত্র হওয়ায় কম্পিউটার/বিজ্ঞান প্রযুক্তি অংশে ধরলাম ১০ এ ৬, মোট হল
৫০+১৫+৬ =৭১. এই অংক কষে পরীক্ষার হলে গেলাম গিয়ে সবকিছু প্ল্যান অনুযায়ী
করলাম অর্থ্যাৎ প্রথমে আমার স্ট্রেন্থ অনুযায়ী ইংরেজী ও ম্যাথ এর এ্যান্সার
করলাম এরপর বাংলা সবকিছুই ঠিকমত হল ভয়ে ছিলাম সাধারণ জ্ঞান নিয়ে কিন্তু
উত্তর দিতে গিয়ে দেখলাম আমার বেসিকেই বেশিরভাগ প্রশ্ন কভার করে পরীক্ষা
প্রত্যাশার চেয়েও ভাল হল-ফলাফল আমি ১০০ এর মধ্যে ৮১ বা ৮২ এরকম পেয়েছিলাম।
একথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার মানে হচ্ছে নিজেকে সবসময় কনফিডেন্ট মনে
করবেন, আপনি একটা অংশে খারাপ হতেই পারেন, নিশ্চই আপনারও কোন না কোন ভাল দিক
আছে সেটাকেই হাতিয়ার করেন, পারবেন আপনিও
No comments:
Post a Comment